Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জন সমূহ :

() বিটিসিএল বিভিন্ন প্রজন্মের মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে একটি দেশব্যাপী ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) তৈরি করেছে এবং পরে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক এসডিএইচ/ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তি এবং ফাইবার সংযোগ ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করেছে।


() বিটিসিএল এর এই দেশব্যাপী ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কে বেশিরভাগই অপটিক্যাল ফাইবার রয়েছে যার মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম রেডিও লিঙ্ক রয়েছে যা কিছু প্রত্যন্ত উপজেলাকে সংযুক্ত করে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সারা দেশে বিটিসিএলের একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক দেশব্যাপী অপটিক্যাল ফাইবার-ভিত্তিক ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক ভয়েস, ডেটা এবং ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য সাবমেরিন কেবল এবং ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংযোগের সুবিধা দিচ্ছে। বিটিসিএল-এর সুবিশাল অপটিক্যাল ব্যাকবোন ব্যবহার করে, উচ্চ প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যায়ের অফিসের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবধান কমাতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


() বিটিসিএল এর ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কে ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার তারের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ২০১৫ সালে প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার। বিটিসিএল সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রকল্প সম্পন্ন করেছে যার মাধ্যমে সকল জেলাকে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে ভোলা এখন পিজিসিবি অপটিক্যাল ফাইবার এবং মাইক্রোওয়েভ সিস্টেমের মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবারের সাথে সংযুক্ত। বর্তমানে, বিটিসিএল এর অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ৬৪ টি জেলা, ৪৭৪ টি উপজেলা এবং ১২১৬ টি ইউনিয়নকে কভার করে, ৩৮,০০০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে মডেম টেলিযোগাযোগ সুবিধা এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রদান করে, যা প্রতি বছর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।


() বিটিসিএল ডিডব্লিউডিএম ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কক্সবাজারে SEA ME WE4 এবং কুয়াকাটায় SEA ME WE5 এবং বেনাপোলে আইটিসি-র সাথে সংযুক্ত। বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে লিঙ্কের রিডানড্যান্সির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন এবং আইটিসি ক্যাবল বর্ডার পয়েন্টের সাথে সংযোগ করার জন্য বিটিসিএল এর নিম্নলিখিত ব্যাকহল ক্ষমতা রয়েছে:

  • SEA ME WE4 এর কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ব্যাকহল ক্যাপাসিটি 540 Gbps
  • SEA ME WE5 এর কুয়াকাটা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ব্যাকহল ক্যাপাসিটি হল 600 Gbps
  • আইটিসি-র বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ব্যাকহল ক্যাপাসিটি 500 Gbps


() বিটিসিএল ঢাকা থেকে ৬৪টি জেলায় একটি নির্ভরযোগ্য অপ্রয়োজনীয় ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। বিভাগীয় সদর দফতর যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ২০০ জিবিপিএস এবং ১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সাথে সংযুক্ত।


() বিটিসিএল তার ট্রান্সমিশন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে যা ২০২৩ সালের মধ্যে সমস্ত উপজেলাকে ১০০G ডিডব্লিউডিএম কানেক্টিভিটি এবং ৩০০G কানেক্টিভিটি দিয়ে সমস্ত জেলাকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করবে। আটটি বিভাগীয় সদর দপ্তর ঢাকার সাথে ৮০০G/১০০০G ডিডব্লিউডিএম এএসওএন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে। সমস্ত উপজেলায় একাধিক ১০G এবং ১০০/২০০G সহ জেলার ক্ষমতা থাকবে। এটি ২০৩০ পর্যন্ত সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।


() মোবাইল সেক্টরের ব্যান্ডউইথের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে, বিটিসিএল ২০২১-২২ অর্থবছরে বৃহত্তর পরিসরে দেশের সমস্ত মোবাইল অপারেটরগুলিতে এনটিটিএন দেশব্যাপী টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি প্রসারিত করেছে। এতে রয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, টাওয়ার শেয়ারিং এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। মোবাইল অপারেটরদের কাছে মোট অপটিক্যাল ফাইবার লিজ ১৪,০০০ কিঃমিঃ এর বেশি।


() বিটিসিএল এর ৫জি কমপ্লায়েন্ট অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের উন্নয়ন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল এপ্রিল ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৫ এবং আনুমানিক ব্যয় ১০৫৯.১০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কাজের পরিধির অধীনে, ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে সহজে এবং নির্ভরযোগ্য অ্যাক্সেসের জন্য উপজেলা পর্যন্ত উচ্চমানের ট্রান্সমিশন সুবিধা স্থাপন করা হবে এবং ট্রান্সমিশন ক্ষমতা জেলা পর্যায়ে ৩০০G এবং উপজেলা পর্যায়ে ১০০G এ উন্নীত করা হবে।


() সরকারী খাতে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থায় কর্পোরেট সেবা হিসেবে বিটিসিএল অবকাঠামো ভিত্তিক সেবা প্রদান করে আসছে, যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলোঃ 

          ১. সকল উপজেলা নির্বাচন কমিছনে অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি (৪৩৮ টি ইতোমধ্যে সংযুক্ত)।

          ২. স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবায় প্রান্তিকপর্যায় পর্যন্ত টেলিমেডিসিন ও ই-হেলথ সেবা পৌঁছে দিতে দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় কানেক্টিভিটি ও ব্যান্ডউইথ (৩৫০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) 

          ৩. ১৯০ টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে অপটিক্যাল ফাইবারভিত্তিক সংযোগ।

          ৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কার্যালয়ের মধ্যে সংযুক্তি (১১)।

          ৫. সকল ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য পাসপোর্ট অফিসে ফাইবার ও ইন্টারনেট (১৫৪ টি অফিস)।

৬। বাংলাদেশ পুলিশ এর হাইওয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার জনয় প্রয়োজনীয় কানেক্টিভিটি।


(১০) বিটিসিএলের সামাজিক বাধ্যবাধকতা কাজ: বিটিসিএল নিম্নলিখিত কাজগুলোকে সামাজিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে গ্রহণ করেছে :-

          ১. মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে টেলিফোন পরিষেবা।

          ২. মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের জন্য বিনামূল্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা।

          ৩. ঢাকা এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিনামূল্যে টেলিফোন পরিষেবা।

          ৪. প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিয়ন, হাট-বাজার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা।

          ৫. সরকারে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষ করে করোনার সময় অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে সহায়তা করে।

          ৬. হাওর, বাঁওড় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে টেলিযোগাযোগ সুবিধা (ব্রডব্যান্ড ওয়াই-ফাই) সম্প্রসারিত করা যাতে তারা উচ্চ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে তা ডিজিটাল বিভাজন ভেঙে দেবে।


(১১) বর্তমানে দেশে কোন এনালগ এক্সচেঞ্জ নেই। সকল এক্সচেঞ্জ ডিজিটালে রুপান্তর করা হয়েছে।


(১২) বর্তমানে সরাদেশে প্রায় ২১,৫০০ কিঃমিঃ অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো রয়েছে।


(১৩) বর্তমানে দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং বেশ কিছু ইউনিয়ন পর্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা সর্বত্র একই মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।


(১৪) বর্তমানে ১২১২ টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আরো ২,৬০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন কাজ চলছে।


(১৫) ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রামে IP based আধুনিক এক্সচেঞ্জ চালু করা হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে সরা দেশে বিস্তৃত হচ্ছে।


(১৬) পার্বত্য এলাকার সব উপজেলায় ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে।


(১৭) বর্তমানে ঢাকা-কুয়াকাটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লিংকের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।


(১৮) ঢাকা কক্সবাজার ব্যান্ড উইডথ পরিবহন ক্ষমতা ৬ গুন বৃদ্ধি করে 240 Gbps করা হয়েছে।


(১৯) বর্তমানে দেশের প্রায় সকল উপজেলা উচ্চক্ষমতার অপটিক্যাল ফাইবার দ্বারা জেলা পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত।


(২০) বর্তমানে গ্রাহক টেলিসেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কিত যাবতীয় অভিযোগ প্রদান ও কাঙ্খিত ফলাফল দেখতে পারছেন।


(২১) বর্তমানে বিটিসিএল-বিটিসিএল ১৫০ টাকায় সারা মাস, বিটিসিএল-অন্যান্য অপারেটরে ৫২ পয়সা/মিনিট কথা বলার সুযোগ।


(২২) বর্তমানে ব্যান্ড উইডথ চার্জ প্রতি Mbps এ প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩৭৫.০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৮০.০০ টাকা।


(২৩) বর্তমানে “.বাংলা” চালু করার মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিমন্ডলে বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটের এড্রেস দেওয়ার সূচনা হয়।


(২৪) বর্তমানে “.bd” ও “.বাংলা” রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী অনলাইনে তাৎক্ষণিক ভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে।


(২৫) বর্তমানে লেজার ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন করা হয়েছে। ফলে গ্রাহক নিজেই টেলিফোন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাৎক্ষনিকভাবে বিল প্রিন্ট নিতে পারছেন।


(২৬) বর্তমানে দেশের যে কোন স্থানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করা সম্ভব হচ্ছে।


(২৭) বর্তমানে দেশের স্কুল/ কলেজ, ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান সমূহতে ফ্রি Wi-Fi জোন তৈরীর প্রকল্প চালু হয়েছে।